অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাকিস্তানের বিধ্বংসী বন্যার এক বছর পরও আনুমানিক ৪০ লাখ শিশুর মানবিক সহায়তার প্রয়োজন বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা-ইউনিসেফ। তহবিল সংকটে থমকে আছে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা।
ইউনিসেফের এই সতর্কবার্তাটি এমন সময় এসেছে যখন পাকিস্তানের পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশ উপচে পড়া সতলেজ নদীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কাসুর এবং বাহাওয়ালপুর জেলার জলাবদ্ধ এলাকা থেকে অন্তত এক লাখ বাসিন্দাকে ১ আগস্ট থেকে সরিয়ে নিয়েছে উদ্ধারকারীরা।
ছয় মাসেরও বেশি আগে জেনেভায় জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি সম্মেলনে কয়েক ডজন দেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গত গ্রীষ্মের বন্যা থেকে পাকিস্তানকে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে বেশিরভাগ অঙ্গীকার ছিল প্রকল্পের জন্য ঋণ আকারে; যা এখনও পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়ে গেছে।
ইউনিসেফ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, চলতি মৌসুমের বর্ষার বৃষ্টি বন্যাকবলিত জনগোষ্ঠীকে আরও বিপদে ফেলেছে। এতে সারা দেশে ৮৭ শিশুর প্রাণ গেছে।
এতে বলা হয়েছে, ৪০ লাখ শিশুসহ ৮০ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত এলাকায় নিরাপদ পানির তীব্র সংকটের মধ্যে বাস করছে। বন্যা-আক্রান্ত জেলাগুলোর ১৫ লাখ শিশুর এখনও জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রয়োজন।
পাকিস্তানে গত বছরের বন্যায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়। দেশটির বড় অংশ কয়েক মাস ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় বিপদে পড়েন ৩ কোটির বেশি মানুষ। বন্যায় ৩০ হাজার স্কুল ও দুই হাজার ক্লিনিক এবং ৪ হাজারের বেশি খাবার পানির উৎস ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
Leave a Reply